
লীনা ফেরদৌসের
অপুষ্পক বারুদ
তোমার
দিনের সাথে রাত জুড়তে নিদারুণ ক্লান্ত আমি
উল্কা হবার স্বপ্ন নিয়েও দু’কদম হেঁটে হাঁপিয়ে উঠি
তেল-নুন-হলুদ ছেঁড়া আঁচল
আটকে ধরে গৃহস্হলীর চাঁতাল,
বিবশ চৌকাঠে নুপুরের নিশ্কলুষ ঝংকার-
অন্তহীন তাড়া করে ঐশ্ব্যরিক প্রেম তোমার ।
ফেরারী ঘুম রাতভর তাড়া করে যায়
ভোরের আকাশখানা জানি তোমার হাতের মুঠোয়
অপুষ্পক বারুদ আমি ফণীমনসার ঝোপে
কতোটুকুই বা পারি হাত বাড়াতে আ-দিগন্ত প্রান্তে,
তবুও সময়ের গ্রন্থি থেকে রাশী রাশী তারা হেসে
স্বপ্ন এঁকে দিল আমাদের বারুদের ক্যানভাসে।
পথবালিকা
পথবালিকা পসরাপুরাণ পথে
বুনো ফুলের গন্ধ ভরা
রাতে,
বিষণ্ণতার জোছনাটানা
রথে
সস্তা সুঘ্রাণ শরীরী
মৌতাতে ।
লাল শাড়ীতে হারিয়ে
গেছে দিন
ভুল নৌকায় পাল
দিয়েছে তুলে,
তবুও কেন স্বপ্নেরা
উড্ডীন
নিয়ন রাতে ধুসর
ফোটা ফুলে।
শ্রাবণ রাতে যেমন
নাচে রাধা
ইন্দ্রজালে তেমনি নাচে
মন,
ঝাড়বাতিটা ক্ষীণ
আশায় বাঁধা
কৃষ্ণপক্ষ কাটবে
অনুক্ষণ ।
পথবালিকার অশ্রু
পাতা ঝরে
নীলচে চাঁদে বিষণ্ণতার
জোট,
একটানা সুর
একচিলতে ঘরে
নখদন্তে রক্তাক্ত নীল
ঠোট ।