আন্জুমান রোজী ( কানাডা থেকে): রবীন্দ্রসন্ধ্যার আয়োজন ছিল বাংলাদেশ সেন্টার এন্ড কমিউনিটি সার্ভিস সেন্টারে। বাঙালি অধ্যুষিত এলাকা। যেখানে গেলে মনে হবে বাংলাদেশেই আছি। বাংলাদেশ সেন্টার এন্ড কমিউনিটি সার্ভিস হলো তারই প্রাণকেন্দ্র। এই সেন্টারেই প্রতি মাসে সাংস্কৃতিক সন্ধ্যার আয়োজন করা হয় কমিউনিটিতে বাংলাদেশের মূলধারার শিল্প, সাহিত্য সংস্কৃতির চর্চা অব্যাহত রাখার জন্য এবং সেই লক্ষে প্রতি অনুষ্ঠানের আয়োজন থেকে একটা তহবিল সংগ্রহ করা হয়। যা দিয়ে বাংলাদেশ সেন্টার পরিচালিত হয়। এই কার্যক্রমে সচেতন সংস্কৃতমনা প্রবাসী বাঙালি অংশগ্রহণ করে থাকেন এবং তারা নিজ শিল্প সংস্কৃতিকে জিইয়ে রাখার নিবেদিত প্রাণও। এরই ধারাবাহিকতায় এবারের আয়োজনে অংশগ্রহণ করে রবীন্দ্রসঙ্গীত শিল্পী সংস্থা কানাডা। যার প্রেক্ষিতে পুরো সন্ধ্যাই ছিল রবীন্দ্র আবহ। রবীন্দ্রনাথের গান, কবিতায় উঠে এসেছে স্বদেশপ্রেম, মানবপ্রেম, পূজাপ্রেম। যেহেতু এটি ডিসেম্বর মাস, বিজয়ের মাস এবং আমাদের স্বাধিকার অর্জনের মাস তাই সব শিল্পীর গানে, কবিতায় বিজয় মাসের প্রতি শ্রদ্ধার্ঘ ফুটেছে চমৎকারভাবে। যা দর্শকস্রোতাকে আপ্লুত করে, নিয়ে যায় স্বদেশের প্রাঙ্গণে। গান এবং কবিতা নির্বাচনও ছিল যথার্থ। প্রত্যেক শিল্পীর সুললিত কন্ঠে তা সঠিক ব্যঞ্জনায় পরিবেশিত হয়, যা ছিল মন্ত্রমুগ্ধের মতো শ্রবণীয়। সাথে ছিল আমাদের মুক্তিযুদ্ধে বিজয়ের প্রতীক ‘বিজয়ফুলের’ পরিধান। ‘বিজয়ফুল’কে বুকে ধারণ করে সকল মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন ছিল এই অনুষ্ঠানের এক বিশেষ আকর্ষণ।
সঙ্গীত পরিবেশন করেন যথাক্রমে রুমা রহমান, ভ্যালেন্টিনা ভৌমিক, মোনালিসা চৌধুরী, স্নিগ্ধা চৌধুরী, নিঘাত মর্তুজা শর্মী, নবীউল হক বাবলু, নাহিদ কবির কাকলী, জীবিনা সঞ্চিতা হক এবং শাহজাহান কামাল। কবিতা আবৃত্তিতে ছিলেন কবি মেহরাব রহমান, দিলারা নাহার বাবু এবং রাশেদা মুনীর। তবলায় সঙ্গত করেন সজীব। মঞ্চসজ্জায় মমতা। উপস্থাপনায় আঞ্জুমান রোজী। “গানের ভেলায় বেলা অবেলায়” অনুষ্ঠানটির সার্বিক পরিচালনায় ছিলেন রবীন্দ্রসঙ্গীত শিল্পী শাহজাহান কামাল।
বাংলাদেশ সেন্টার এন্ড কমিউনিটি সার্ভিসের এমন পথচলাকে সাধুবাদ জানাতেই হয়। তাদের এই পথ পরিক্রমা সুদূর প্রসারী হোক সেই কামনা।