আহসান শামীম: ত্রিদেশীয় সিরিজের ফাইনালের আগে অন্য চেহারার বাংলাদেশ।অন্য চেহারায় শ্রীলঙ্কা।লঙ্কান বোলিং এ ক্ষতবিক্ষত টাইগার ব্যাটিং লাইন। ৮২ রানে মাত্র চার বোলার ব্যবহার করে বাংলাদেশকে ২৪তম ওভারেই অল আউট করে লঙ্কানরা।৮৩ রানের টার্গেট তাড়া করতে কোন উইকেটই না হারানোর জন্য ১০ উইকেটে জয় তুলে ফাইনালে উঠল শ্রীলংকা ।গুনথালিকা ৩৫ ও থারাঙ্গা ৩৯ রানে অপরাজিত ছিলেন। ১১.৫ ওভারে ৮৩ রান করে বাংলাদেশের বিপক্ষে ৮৩ রানে জয় পায়
শ্রীলংকার ,লাকমলের তিন উইকেটের পর চামারা, পেরেরার দুই উইকেটের সাথে সান্দাকানের দুই উইকেট বাংলাদেশকে লজ্জাজনক স্কোরে বেঁধে রাখতে সক্ষম হয় লঙ্কানরা।
এটা বাংলাদেশের নবম সর্বনিন্ম ওয়ানডে স্কোর। এর আগে আরো আট বার এর চেয়েও কম রানে অল আউট হয়েছিল বাংলাদেশ। সর্বনিম্ন রান সবচেয়ে কম মাত্র ৫৮ রানে অল আউট হয়েছিল বাংলাদেশ ২০১১ সালে ওয়েস্টইন্ডিজের বিপক্ষে। এরপর ২০১৪ সালে আবারো ৫৮ রানে অল আউট হয় ভারতের বিপক্ষে। এরপর ৭০ রানে অল আউট হয় ওয়েস্টইন্ডিজের বিপক্ষে ২০১৪ সালেই। চতুর্থ সর্বনিন্ম ৭৪ রান করে অষ্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ২০০৮ সালে। ২০০২ সালে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে করেছিল পঞ্চম সর্বনিন্ম রান ৭৬। এরপর ভারতের বিপক্ষে ২০০৩ সালে ৭৬, নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ২০০২ সালে ৭৭ এবং দক্ষিন আফ্রিকার বিপক্ষে ২০১১ সালে ৭৮ রানে অল আউট হয়েছিল বাংলাদেশ।
ত্রিদেশীয় সিরিজের ষষ্ঠ ম্যাচে লঙ্কান বোলারদের অসাধারণ বোলিংয়ে মাত্র ১৫ রানেই ৩ উইকেট হারিয়ে ব্যাটিং বিপর্যয়ে বাংলাদেশ। তৃতীয় ওভারেই লাকমলের বলে বোল্ড হয়ে ফিরে যান এনামুল ।ঘরোয়া লিগে দুর্দান্ত পারফরমেন্স করে আবার জাতীয় দলে ফেরা বিজয় টানা চতুর্থ ম্যাচেও ব্যর্থতার বৃত্তেই বন্দি হন। এরপর গুনাথিলাকার দুর্দান্ত এক থ্রোতে ৮ রানে রান আউট হয়ে ফিরে যান সাকিব। একবল পরেই লাকমলের দুর্দান্ত এক বাউন্সারে পয়েন্টে ক্যাচ দিয়ে ৫ রানে ফিরে যান তামিম।এর ফলে দুর্লভ মাইলফলকে পা রাখতে ব্যর্থ হন তামিম।
সাকিব-তামিমের দ্রুত বিদায়ের পর সবাই তাকিয়ে ছিল মুশফিক ও মাহমুদউল্লাহ জুটির দিকে।সবাইকে হতাশ করে লাকমলের বলে চামেরাকে ক্যাচ দেন রিয়াদ মাত্র ৭ রানে। রিযাদের আউটের পর ব্যাটিংয়ে নামেন সাব্বির। তিনিও বেশিক্ষণ টিকতে পারলো না । পেরেরার বলে আউট হয়ে ফিরলেন সাব্বির। সাব্বিরের পরে নতুন ব্যাটসম্যান ক্রিজে নামেন রাজু।আবারো পেরেরার আঘাত। পেরারের বলে কিপিংয়ের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফিরে গেলেন রাজু। বাংলাদেশের সংগ্রহ ১৯ ওভার শেষে ৬ উইকেট হারিয়ে ৭১ রান।
অন্যপ্রান্ত থেকে সতীর্থদের আসা যাওয়া দেখে আসছিলেন চার নম্বরে নামা মুশফিক।সলিড ব্যাটিং করে বাংলাদেশকে সম্মানজনক পুঁজি এনে দেয়ার চেষ্টায় ছিলেন তিনি।অবশ্য ২২তম ওভারে চামিরার বলে স্টেপ আউট করে খেলতে গিয়ে টাইমিংয়ে গড়বড় করে শর্ট মিড উইকেটে সহজ ক্যাচ দিয়ে আউট হন মুশফিক। বাংলাদেশের হয়ে সর্বোচ্চ ২৬ রানের ইনিংস খেলে সাজঘরে ফিরে যান তিনি। চামারার দৃষ্টিকটু ওয়াইড ডেলিভারিতে পুল করতে যাওয়া নাসির নিজের পায়ে নিজেই কুড়াল মেরে বসেন। এরপর মাশরাফি, রুবেলদের সাজঘরে ফেরাতে এক ওভার সময় নেন চায়নাম্যান সান্দাকান, যা বাংলাদেশকে ৮২ রানে বেঁধে ফেলে।
আগামী ২৭ জানুয়ারী টাইগারদের বিপক্ষে ফাইনালে খেলবে শ্রীলংকা ।
ছবিঃ ইএসপিএন