শাকিব খানকে ঘিরে দেশের চলচ্চিত্র কারখানা এখন অস্থির। চলছে আলোচনা, ছড়াচ্ছে গুঞ্জন। এই প্রসঙ্গের সঙ্গী হয়েছে যৌথ প্রযোজনার নামে যৌথ প্রতারণার প্রসঙ্গটিও। পরিস্থিতি আরো বেশী উত্তপ্ত হয়ে ওঠে গত ১৮ জুলাই। দেশের সিনেমার পরিচালক, প্রযোজক, অভিনয়শিল্পী, কলাকুশলীদের ১৬ সংগঠনের একাংশ নিয়ে গঠিত বাংলাদেশ চলচ্চিত্র পরিবার বৈঠক করে যখন দেশের জনপ্রিয় এই নায়কের ব্যাপারে একটি সিদ্ধান্ত গ্রহণ করলে। বৈঠক শেষে সংগঠনটি সরাসরি জানিয়ে দেয়, এখন থেকে নতুন ও পুরোনো কোনো সিনেমা শাকিবের সঙ্গে করবে না বাংলাদেশ চলচ্চিত্র পরিবার।
এই সংগঠনের আহ্বায়ক প্রখ্যাত অভিনেতা ফারুক গত বুধবার স্থানীয় একটি দৈনিকের প্রতিনিধির সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে বলেছেন, এখানে ভুল বোঝাবুঝি হচ্ছে। আমরা কাউকে বয়কট করিনি। আমরা বৈঠকে নির্দিষ্ট কিছু বিষয়ে আলাপ করেছি। যারা যৌথ প্রযোজনার নামে প্রতারণা করে সিনেমা বানিয়েছে বা কলকাতা থেকে নিয়ম না মেনে সিনেমা এনেছে, তাদের বিষয়ে আলোচনা করেছি। এ ছাড়া যৌথ প্রতারণার সিনেমার সাফাই গাইতে গিয়ে উদ্ভট ও ঔদ্ধত্যপূর্ণ কথা বলেছে, তাদের সঙ্গে চলচ্চিত্র পরিবারের ১৬ সংগঠনের কেউ কাজ না করার চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এখানে বয়কটের কিছু নেই।
ফারুক তাদের সংগঠনের উদ্দেশ্য ব্যাখ্যা করে বলেন, আমরা চেষ্টা করছি দেশের পুরো চলচ্চিত্র পরিবারকে এক জায়গায় নিয়ে আসতে। একটা শক্তিশালী প্ল্যাটফর্ম করে তুলতে চাই। আমরা যখন চলচ্চিত্র থেকে সরে যাই, তখন হঠাৎ নোংরামি শুরু হয়। এই সুযোগে কিছু নষ্ট মানুষ চলচ্চিত্রকে ধ্বংসের দিকে নিয়ে যায়। এরপর আবার কিছুটা ঠিক হলে ঢুকে যায় যৌথ প্রযোজনার নামে প্রতারণা। এখনকার সরকার সংস্কৃতিবান্ধব, চলচ্চিত্রের উন্নতি চায় তারা।
আমি যৌথ প্রযোজনার পক্ষে। আমি তো চাই, যৌথ প্রযোজনার সিনেমা বেশি বেশি হোক, কিন্তু সেটা অবশ্যই নিয়ম মেনে। দুই দেশের স্বার্থের বিষয়টিও সবাইকে দেখতে হবে।
বিনোদন ডেস্ক
তথ্যসূত্রঃ ইন্টারনেট
ছবিঃ গুগল