
আহসান শামীম
বাংলাদেশ দলের প্রধান কিউরেটর লঙ্কান নাগরিক গামিনি ডি সিলভা।এবার ত্রিদেশীয় সিরিজের ফাইনালে পীচ ফিক্সিং এর অভিযোগ উঠেছে।শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ফাইনালে ব্যাটিং উইকেট চেয়েছিল বাংলাদেশের টিম ম্যানেজমেন্ট। ৩২০ রানের মত উইকেট প্রস্তুতির আশ্বাসও দিয়েছিলেন প্রধান কিউরেটার। সেই কথা অবশ্য রাখেননি প্রধান কিউরেটর গামিনি ডি সিলভা।
ফাইনালের আগেরদিন উইকেটে পানি তিনি নিষেধ করা হলেও তা অমান্য করেছেন এই লঙ্কান। তার ওপর পরিস্কার নির্দেশনা ছিল যে উইকেট হতে হবে ব্যাটিং সহায়ক স্পোর্টিং উইকেট। ৩০০ এর ওপর রান তোলাও যাবে, অচথ, উইকেট ছিল অপ্রত্যাশিত রকমের স্লো।
ঢাকা ছেড়ে চট্টগ্রামে টেস্ট খেলতে দল নিয়ে যাওয়ার আগে টেকনিক্যাল ডিরেক্টর খালেদ মাহমুদ সুজন বললেন, ‘সবাই জানে, বিষয়টা নিয়ে সবাই কনসার্ন ছিল, বোর্ডও জানতো। মাহবুব ভাই ব্যাপারটা নিয়ে অনেক সোচ্চার ছিলেন। ব্যাপারটা নিয়ে খেলা শেষে অনেক কথাও হয়েছে।’যদিও, পিচের দোহাই দিয়ে ব্যর্থতাকে ঢাকতে চাইলেন না সুজন। বললেন, ‘তারপরও আমরা বলবো, যে রানটা আমাদের তাড়া করার কথা ছিল মানে ২২০ রান, সেটা করার সামর্থ্য আমাদের এই দলটার ছিল।’
প্রধান কিউরেটর গামিনি ডি সিলভা বিরুদ্ধে স্থানীয় টেলিভিশন ও প্রিন্ট মিডিয়া এনেছে আরো বড় অভিযোগ। ফাইনালের আগে মিরপুরের অ্যাকাডেমি ভবনে শ্রীলঙ্কার টিম ম্যানেজেমেন্টের সাথে তিনি ঘণ্টা দেড়েক বৈঠক করেছেন বলে অভিযোগ আছে। বিসিবি ও জাতীয় দলের স্বার্থের বিরুদ্ধে গিয়ে তিনি তাদের দিয়েছেন অনেক গুরুত্বপূর্ণ ও স্পর্শকাতর তথ্যও।ফাইনালের আগেও নিষেধ থাকার পরও পীচে পানিও ছিটিয়েছেন বাংলাদেশের টিম ম্যান্জমেন্টের নির্দেশ উপেক্ষা করে।
বরাবরই গামিনি’র বিরুদ্ধে এমন বড় ধরণের অভিযোগ থাকার পরও বিসিবি নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করে এসেছে। ত্রিদেশিয় সিরিজের আগে চট্টগ্রাম থেকে কিউরেটর জাহিদ রেজা বাবুকে এনে টুর্নামেন্টের দায়িত্ব দেওয়ার কথা ছিল। শেষ মুহূর্তে সেই পথ থেকে সরে আসে বিসিবি। চিটাগং টেষ্টের দায়িত্ব আবারও গামিনির হাতে দেওয়া হয়েছে।
ছবিঃ গুগল