0
ডুবছে জীবনতরী। সামনে চির বিচ্ছেদের পথ। এই বিচ্ছেদ জীবনের সঙ্গে।

বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়
পূর্ণ অথবা শুণ্য পানপাত্র ফেলে রেখে এক ঝটকায় চলে যাওয়া না-ফেরার দেশে। শেষ যাত্রায় কত কথাই বলতে চায় মানুষ। একটু একটু করে তলিয়ে যাবার আগে মনের মধ্যে জেগে ওঠে শেষ বোঝাপড়া, শেষ অনুভূত সত্য, জীবনের দিকে ফিরে তাকানোর তীব্র আকাঙ্খা।
বলছি শেষ বিদায়ের দিনে পৃথিবীর খ্যাতিমান মানুষদের উচ্চারিত শেষ বাক্যের কথা। সঙ্গীতজ্ঞ বিটোফেন বলেছিলেন, ‘শেষ হলো প্রহসন’। বিশ্বাসঘাতক বন্ধু ব্রুটাসের ছুরি পাজরে আমূল ঢুকে যাবার সময় রোমান সম্রাট জুলিয়াস সিজারের উক্তি ছিল, ‘ব্রুটাস তুমিও!’ আর বিশিষ্ট লেখিকা জেন অস্টেনের কাছে তার বোন জানতে চেয়েছিল কিছু চাই কী না? অস্টেন উত্তর দিয়েছিলেন, ‘শুধু মৃত্যু’।

বিটোফেন
আর রবীন্দ্রনাথ? তিনি তখন রোগশয্যায় আচ্ছন্ন। নিজে হাতে লেখার ক্ষমতাও তার আর নেই। তিনি তখন যন্ত্রণাকাতর অবস্থায় কখনো শুয়ে শুয়েই বলে যাচ্ছেন, আর তার মুখনিসৃত বাণী কবিতার ছন্দে লিখে রাখছেন রানী চন্দ। কবি তাকে বললেন লিখে রাখতে- ‘আমৃত্যু দুঃখের তপস্যা এ জীবন’। শেষ মুহূর্তে এসেও জীবনের কী গভীর বিশ্লেষণ!
এই বিশিষ্ট মানুষদের উচ্চারিত শেষ কথা নিয়েই এবার প্রাণের বাংলার প্রচ্ছদ আয়োজন।
ডুবছে জীবনতরী
তখন আশ্বিন মাস।
দার্জিলিং-এ বেড়াতে গিয়েছেন বিজ্ঞানী জগদীশচন্দ্র বসু। সঙ্গে

গৌতম বুদ্ধ
তাঁর স্ত্রী লেডি অবলা আর ভগিনী নিবেদিতা।
হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়লেন ভগিনী। বিজ্ঞানী ও তাঁর স্ত্রী দিনরাত এক করে যাবতীয় সেবাযত্ন করে চললেন তাঁদের ভারত-অন্তপ্রাণ বান্ধবীটির। কিন্তু অদৃষ্টের কী পরিহাস!
কাকভোর। মেঘে ঢাকা আকাশ। শেষ ঘুমে তলিয়ে যাওয়ার ঠিক আগের মুহূর্তে হঠাৎ স্পষ্ট উচ্চারণ করলেন তিনি, ‘‘আমার জীবনতরী ডুবছে, কিন্তু সূর্যের উদয় দেখবই।’’
আশ্চর্য! মেঘ কেটে যখন নতুন রোদের ছ’টায় ঝিকিয়ে উঠল আশপাশ, তখন তৃপ্ত প্রশান্ত মুখে চলে গেলেন মার্গারেট এলিজাবেথ নোবল। তিনি তখন মাত্র ৪৩ বছরে পা রেখেছেন। ।
আর একজন বিখ্যাত মানুষের জীবনের শেষ উচ্চারণের সঙ্গে সূর্যের প্রসঙ্গটি জড়িয়ে আছে। তবে সেটা ছিল সূর্য না-ওঠার পূর্বঘোষণা। এই ফরাসী পন্ডিত মানুষটির নাম মিখায়েল নস্ত্রাদামুস। যাঁর মূল খ্যাতি ছড়িয়েছিল পৃথিবীর প্রায় প্রতিটি মহাদেশেরই সহস্র বছরের নানা উল্লেখযোগ্য ঘটনার আগাম ভবিষ্যদ্বাণী সম্বলিত ১০ খণ্ডের ‘লে প্রফেতিস’ অথবা ‘দ্য প্রফেসিস’ গ্রন্থের জন্য। গাউট এবং ইডিমা রোগে আক্রান্ত হয়ে ৬৩ বছর বয়সে দেহাবসানের ঠিক আগের দিন, তিনি তাঁর ব্যক্তিগত সচিব জঁ দ্যু শাভিগনি-কে ডেকে বলেন, ‘‘কাল সকালের সূর্য উঠবে যখন, আমাকে আর পাবে না।’’
তাঁর এই শেষ কথাটি অক্ষরে অক্ষরে ফলে যায়। ১৫৬৬-র ২ জুলাই তাকে নিথর অবস্থায় ভূমিশয্যায় পাওয়া যায়। আশ্চর্য, সূর্য উঠতে তখনও বেশ কিছুক্ষণ বাকি।
আড়াই হাজার বছর আগের কথা। আমরা পেছনে ফিরে যাই গৌতম বুদ্ধের প্রয়ানের কালে।
তথাগত তখন জীবনের শেষ প্রান্তে এসে দাঁড়িয়েছেন। বয়স আশি বছর। বহু জায়গা ঘুরে, বিল্বগ্রাম হয়ে বৈশালী ছেড়ে তিনি এলেন কুশীনগরে। শুরু হলো অসহ্য দেহযন্ত্রণা। অথচ তাঁর মুখে সেই চিরপ্রসন্ন হাসি। অতি কষ্টে হিরণ্যবতী নদী পার হয়ে সঙ্গী শিষ্য আনন্দকে একটি শালবৃক্ষতলে তাঁর শেষ শয্যা প্রস্তুত করতে বললেন। এও মনে করিয়ে দিলেন, আশি বছর আগের এক বৈশাখী পূর্ণিমায় লুম্বিনী উদ্যানের এক শালবৃক্ষের নীচে তিনি যেমন পৃথিবীতে এসেছিলেন—ঠিক তেমন আজ এই বৈশাখী পূর্ণিমার দিনেই এই বৃক্ষতল থেকেই পৃথিবী ছেড়ে চলে যাবেন।
খবর পেয়ে অসংখ্য ভিক্ষু তাঁর চার পাশে এসে জড়ো হলেন। তাঁদের দিকে চেয়ে পূর্ণ আত্মজয়ী মানুষটি তাঁর জীবনের শেষতম বাণীটি উচ্চারণ করলেন ‘‘বয়ধম্ম সংখার অপ্পমাদেন সম্পদেথ।’’ যার বাংলা অনুবাদ করলে অর্থ দাঁড়ায় এরকম, ‘‘পঞ্চভূতে গড়া সবই নশ্বর। তাই আত্মমুক্তির জন্যই সচেষ্ট থেকো।’’
কথা ফুরোনোর এক নিমেষের মধ্যে একমুখ তৃপ্তির হাসি নিয়ে চলে গেলেন সংসারত্যাগী রাজপুত্র গৌতম বুদ্ধ।
আলোগুলো জ্বালিয়ে দাও
প্রায় ছ’-দশক জুড়ে ৫০-টিরও বেশি মাস্টারপিস চলচ্চিত্র নির্মাণ করেছিলেন তিনি। সে সব সিনেমা পৃথিবীতে আজও দর্শকদের কাছে একেবারেই ভিন্ন কিছু। তিনি আলফ্রেড হিচকক। তাঁর আমেরিকার বাড়ির রোগশয্যায় শুয়ে—২৯ এপ্রিল ১৯৮০ তারিখে শেষ নিশ্বাস ফেলার আগে অসহায় ভাবে বলে উঠেছিলেন, ‘‘শেষটা সবারই এত অজানা! তাই মরে গিয়েই জানতে হয়, মৃত্যুর পর কী ঘটে।’’
শেষ অনুভূত এই সত্য কী অসাধারণ। হিচকক বলছেন, শেষটা সবারই এত অজানা! মৃত্যু মানুষকে কোথায় যে নিয়ে যায় কেউ জানে না। মৃত্যুর মানে কী তাহলে এক নিকষ কালো অন্ধকার? যেখানে ভয় আর সব ফুরানোর এক বেদনার্ত অনুভূতি ছাড়া আর কিছুই থাকে না? সেরকম না হলে আমেরিকার কালজয়ী ছোট গল্পকার ও হেনরি শেষ সময়ে ভয় :ধরানো গলায় কেন বন্ধুর দিকে তাকিয়ে চীৎকার করে বলে উঠবেন, ‘‘চার্লি! আলোগুলো সব জ্বেলে দাও! অন্ধকারে ঘরে ফিরতে খুব ভয় করবে আমার!’’ ও হেনরির বয়স তখন মাত্র ৪৮ বছর।
অবশ্য শেষ মুহূর্তে পৌঁছে সকলেই যে ভয়-ভাবনার কথা বলেছেন এমনও নয়। বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় চিরবিদায়ের আগে তাঁর প্রিয়জন ঐতিহাসিক রমেশচন্দ্র দত্তকে একেবারেই অন্য ধরণের একটা কথা বলেছিলেন। মৃত্যুর সঙ্গে যে কথার কোন সম্পর্ক নেই।
১৮৯৪-এর মার্চের মাঝামাঝি। কলকাতার বাড়িতে শয্যাশায়ী বঙ্কিম। অসুস্থতা বেড়ে গেলে এপ্রিল মাসের ৫ তারিখ তিনি সংজ্ঞাহীন হয়ে পড়েন। মাঝে একদিন ওই অবস্থায় থাকেন তিনি। ৭ তারিখে জ্ঞান ফিরলে প্রখ্যাত ঐতিহাসিক রমেশচন্দ্র দত্ত আসেন তাঁকে দেখতে।
এর পরের কাহিনি রমেশচন্দ্রের ভাষ্য অনুযায়ী এরকম, ‘‘বঙ্কিমচন্দ্রের মৃত্যুর পূর্বদিন আমি তাঁহাকে দেখিতে গিয়াছিলাম। তিনি তখন প্রায় অজ্ঞান, কিন্তু আমার গলার শব্দ বুঝিতে পারিলেন। আমার দিকে চাহিয়া সস্নেহে আমার সহিত কথা কহিলেন, আমার একখানি ফটোগ্রাফ চাহিলেন। সে সময় কেন আমার ফটোগ্রাফ চাহিলেন, জানি না।’’ বিশিষ্ট বঙ্কিম-গবেষক অমিত্রসূদন ভট্টাচার্য-র মতে, কোনও প্রিয়জনের সঙ্গে সেই ছিল সম্ভবত সর্বশেষ বঙ্কিম-আলাপ। পরদিন অর্থাৎ ৮ এপ্রিল শেষ দুপুরে তিনি চিরবিদায় নেন।
শেষ মুহূর্তে মানুষের প্রিয় বস্তু বা প্রিয়জন-প্রত্যাশার এমন আরো উদাহরণ আছে।
১৯৪৫-এ পৃথিবী ছেড়ে যাওয়ার ক্ষণকাল আগে আমেরিকার এক জনপ্রিয় ঔপন্যাসিক থিওডর ড্রেজার শেষ বারের মতো চেঁচিয়ে ওঠেন, ‘‘শেক্সপিয়র! আমি আসছি!’’
তাঁর থেকে কম করেও ৩৩০ বছর আগে লোকান্তরিত ওই প্রবাদোপম নাট্যকারের নামটি জীবনের অন্তপথে এসে কেন তিনি অমন পাগলের মতো উচ্চারণ করলেন?
হয়তো স্রেফ পরলোকে বিশ্বাস থেকেই এমন ধারণা তাঁর জন্মানো সম্ভব যে, ঊর্ধ্বলোকে পৌছে গেলে প্রিয় নাট্যকারের সান্নিধ্যলাভ ঘটবেই!
জীবনের শেষ প্রহরে এসে রসিকতা? তেমন দৃষ্টান্তও আছে ইতিহাসে। এরকম এক সময়ে এসে রসিকতা করতে হলেও প্রয়োজন সাহসের। ১৯৫৬ সালে শেষ শয্যায় শুয়ে প্রখ্যাত ব্রিটিশ কবি ওয়াল্টার ডি লা মারে রসিকতা করেছিলেন মৃত্যু নিয়ে। তাঁকে যখন প্রশ্ন করা হয়, কী পেলে তাঁর একটু ভাল লাগবে—মারে মৃদু হেসে বলেন, ‘‘ফল দিতে চাইলে বলব, অনেক দেরি হয়ে গেছে। আর ফুল দিতে চাইলে কিছুটা অপেক্ষা করতে হবে।’’

উইনস্টন চার্চিল
মৃত্যুকালে অকম্পিত থেকে বৃটেনের প্রধানমন্ত্রী উইনস্টন চার্চিল যেন মজা করেই বলেছিলেন কথাগুলো।তখন তাঁর বয়স ৯০ ছুঁয়েছে। ১৯৬৫-র ২৪ জানুয়ারি সকালে সেরিব্রাল স্ট্রোকের ধাক্কায় ৯ দিন ধরে টানা শয্যাশায়ী থাকা অবস্থায় চারপাশে শুভানুধ্যায়ীদের উদ্দেশ্যে হঠাৎই বলে ওঠেন, ‘‘ঈশ্বর লোকটার সামনে বসতে তৈরি আমি। তবে জানি না, আমার সামনে বসার সাহস উনি এখনও জুটিয়ে উঠতে পেরেছেন কি না!’’
যতক্ষণ না অঙ্ক শেষ হচ্ছে
১২০০ বছর আগের কোনও এক সকালে এক রোমান সৈন্য এসে দাঁড়ালো তাঁর সামনে। সৈন্যটির হাতে খোলা তলোয়ার। অথচ তার সামনেই কারাগারের মেঝেতে বসে তখনও এক বৃদ্ধ দুর্বোধ্য কী সব অঙ্ক কষে চলেছেন একমনে!মানুষটি পৃথিবীর সর্বকালের অন্যতম শ্রেষ্ঠ চিন্তাবিদ আর্কিমিডিস।

আলফ্রেড হিচকক
সৈন্যটির মুখে বধ্যভূমিতে যাওয়ার আদেশ শুনেও মুখ না তুলেই বললেন— ‘‘না! যতক্ষণ এই অঙ্ক শেষ না হচ্ছে, যেতে পারব না আমি!’’পরমুহূর্তেই পৃথিবীর সবচেয়ে দামি মাথাটিকে বিচ্ছিন্ন করা হয়েছিল তাঁর অশক্ত দেহ থেকে—মানুষের চিরকালীন মুর্খতার প্রমাণ হিসাবে।
মৃত্যুর মুখোমুখি দাঁড়িয়ে এভাবে মৃত্যুদন্ডকে এভাবে উপক্ষো করতে পারে ক‘জন? বেশীরভাগই হয়তো এই সাহসের আগুনে পোড়ার সাহস দেখাবেন না।

চে গুয়েভারা
কিন্তু দেখিয়েছিলেন বিপ্লবী বীর চে গুয়েভারা।
১৯৬৫-তে কিউবার বহু বছরের সামরিক সরকারের পতন ঘটিয়ে—ফের বছর দুয়েকের মধ্যেই চে বেরিয়ে পড়েন বলিভিয়ার সামরিক সরকারের বিরুদ্ধে গেরিলা-যুদ্ধ চালাতে। ১৯৬৭-র ৮ অক্টোবর ১৮০০ বলিভিয়ান সৈন্যের এক বিশাল বাহিনীর সঙ্গে অসম যুদ্ধে আহত অবস্থায় তিনি ধরা পড়ে যান।
পরদিন ৯ অক্টোবর বিকেলে লা হিগুয়েরা গ্রামের এক ভাঙাচোরা স্কুলঘরে বন্দি অবস্থায় তাঁকে হত্যা করা হয়। মোট ৯টি গুলিতে ঝাঁঝরা হয়ে মাত্র ৩৯ বছর বয়সে চে যখন পৃথিবী ছেড়ে যান—তার ঠিক আগের মুহূর্তটিতেই মৃত্যু আসন্ন জেনেও তিনি তাঁর ঘাতক মারিও টেরান নামের ৩১ বছর বয়সি বলিভিয়ান সৈন্যকে তীব্র শ্লেষের গলায় বলেছিলেন— ‘‘জানি, মারতে এসেছো আমায়! কাপুরুষ কোথাকার! মারো!

ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর
কিন্তু মনে রেখো, স্রেফ একজন মানুষকেই মারছ!’’
নিষ্পলক চোখে কান্না শুধু
পন্ডিত ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর একেবারে শেষ সময়ে কোন কথা বলেন নি। কেবল নিষ্পলক দৃষ্টিতে তাকিয়ে ছিলেন দেয়ালে ঝোলানো তাঁর মায়ের ছবির দিকে। এরপর যতক্ষণ বেঁচেছিলেন তাঁর চোখ থেকে অবিরল অশ্রু বয়ে গেছে শুধু।
আসলে শুরুতে বলেছিলাম, শেষ মুহূর্তে উপলব্ধ সত্যের কথা। শেষ বোঝাপড়ার কথা। কত বিচিত্র এই মানুষদের চিন্তার জগৎ তা কেবল তাদের মুখ নিস্রিত শেষ বাক্য পড়লেই বোঝা যায়। এলভিস প্রেসলির ‘বই পড়তে যাচ্ছি’, ফ্র্যাংক সিনাত্রার ‘সব হারিয়ে ফেলছি’, নবোকভের ‘বড় অদ্ভুত আর আলাদা রকমের একটা প্রজাপতি উড়ছে’ কিংবা থমাস এডিসনের ‘কী অপূর্ব সুন্দর ওই দিকটা’র পাশেই লিওনার্দো দ্য ভিঞ্চির ‘একটিও সার্থক কাজ করে যেতে পারলাম না মানুষের জন্য’ অথবা কার্ল মার্ক্সের ‘শুধু বোকারাই শেষ কথা বলে যেতে চায়’ শুনলে মনে হয়, মৃত্যুও কত অর্থপূর্ণ হয়ে ধরা পড়েছে তাঁদের চিন্তায়।
মৃত্যু যদিও যবনিকা নামিয়ে আনে জীবনের ওপর। কিন্তু তারপরেও এই যতিকেও বিশিষ্ট মানুষেরা দিয়েছেন দার্শনিক উচ্চতা।
অথৈ আহমেদ
তথ্যসূত্রঃ ইন্টারনেট।
ছবিঃ গুগল