
লুৎফুল হোসেন
নয়া ধারাপাত
প্রার্থনাকে বৃক্ষ ভাবো যদি
পত্রগুলো পূণ্যতোয়া নদী
তোমার আমার যুদ্ধ যুদ্ধ লীলা
রক্তপাতের গভীর নেশা
অন্তহীন এক মরণ খেলা
মানুষ যেনো খেলছে নিরবধি
ভেনিস থেকে ব্রিসবেনে রোজ
ওয়ালস্ট্রিটের পূজিপতির ভোজ
প্যারিস যেমন শ্বাশত এক প্রেমের ছবি
ল্যুভর থেকে আইফেলের ওই চূড়ায় কোনো
স্পেনের ষাঁড়ে ঝুল কাপড়ে ম্যুলেটা ম্যান
দেখিয়ে যাচ্ছে লাল ঝালরে
উন্মাদনার খেল
বিশ্বজুড়ে শান্তি সনদ খুব বেসামাল
মিথ্যে অংকে প্লাবন ছুটের ব্যস্ত রাখাল
স্বার্থ গুনে মানবতার নিক্তি থেকে
বিন্দু বিন্দু রক্ত মেপে জীবন নামের
জীয়নকাঠি হেলাফেলায় উড়িয়ে দেবার
সানাই যেনো সুদকষাতে বাজছে খামখেয়াল
মৃত্যুপুরী উহান শহর ঘুরছে বমাল
চিমনি উপচে লাশের আগুন
ছড়িয়ে দেবার
অদৃশ্য এক হন্তারকের গোপন ছোবল
ফনার নাচন নিঃশব্দ এক মন্ত্র জপার
নেশার গোলক ধাঁধার ফানুস
উড়িয়ে নেবার
নাটাই ঘুড়ি টানাপোড়েন ছুটছে তবু
উন্মাতাল
হ্যামিলনের বাঁশির মতো কোন অচেনা
সুর নোটেশন লাশের মিছিল
ফিউনারেলের
নিকুচি করে ফুসছে রোষে ষাঁড়ের শিঙে
বাঁধার জীবন ধুলায় লুটায় টাইম স্কোয়ারে
শোকের পোষাক সুপারশপে পথ ছেয়ে যায়
ডাউনিং স্ট্রিট ও বাকিংহামের নোনাজল বৃষ্টিবাণে
আনবিক চুল্লিরা রেসেল রিঙে
জোর দাপাচ্ছে
সোনালী মানবিকতার মমিফায়েড
অনুচ্চার প্রমাদ
সাত সতেরো অসম্ভবের
নিমজ্জমান শোকসন্তাপে ঘড়ির চাকা
বিকল এখন- দিন হটে না সপ্তাহতে
তবুও নতুন পত্রপল্লব পুষ্পরাজি
পেখম মেলে
মানুষ তোমার নিপাট রকম
গরহাজিরার পঞ্জিকাতে
তোমার দখল তোমার দাপট নিঃস্ব রকম
হ্যাংলাপনার স্বার্থান্ধ সব
দিনাতিপাতে
মিসাইল মিগ আর জৈব অস্ত্রে পাত ভরে যায়
শাদা ভাতের বিকল্প সব রক্তঝরা অশ্রুপাতে
মুঠির ভিতর তবুও তোমার ধারালো ছুরি
চাপাতি আর তরবারিতে ছিন্ন করে আপন শিশু
তোমার হর্ষ তোমার যজ্ঞ তোমার প্রসাদ
তোমার পালা তোমার পার্বন
প্রার্থনাময়
প্রহর জুড়ে নিখুঁত ছোবল তোমার চাবুক
তোমার প্রিয় পুরুষ উত্তর রুদ্ধ পথে
থমকে যাবার আপন চক্রে গোপন ছত্রে
গুটিয়ে ফেলে এক পৃথিবী অচল শামুক।