‘উনি বড় বড় সিগারেট খান আর এর-ওর সঙ্গে থাকেন, সবই আমার জানা।’ পশ্চিমবঙ্গের বিশিষ্ট অভিনেত্রী এবং হালের রাজনৈতিক নেত্রী রূপা গাঙ্গুলীকে সম্প্রতি এই ভাষাতেই আক্রমণ করলেন তৃণমূলের নেতা রেজ্জাক মোল্লা।
জাতীয় পুরস্কার প্রাপ্ত দুই বাংলায় সমানভাবে জনপ্রিয় এই অভিনেত্রীে এ বছর পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভা নির্বাচনে ভারতীয় জনতা পার্টির প্রার্থী। তৃণমূল কংগ্রেসের ভাঙড়ের প্রার্থী রেজ্জাক মোল্লা রূপাকে ‘দ্রৌপদী’ বলেও কটাক্ষ করেন। কোন প্রার্থীকে ব্যাক্তিগত আক্রমন করা এমনিতেই নির্বাচনী বিধিনিষেধের আওতায় পড়ে।
রেজ্জাকের এই মন্তব্য নিয়ে তোলপাড় শুরু হয় পশ্চিমবঙ্গের রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক মহলে। পরে অনেকটা বিপদে পড়ে তৃণমূল নেতা নিজেকে সংশোধন করার চেষ্টা করে বলেন, সিগারেট খাওয়া স্বাস্থ্যের পক্ষে ক্ষতিকারক।তিনি সে কথাই বলতে চেয়েছিলেন। রূপা গঙ্গোপাধ্যায় এক সময়ের জনপ্রিয় টিভি সিরিয়াল ‘দ্রৌপদী’র চরিত্রে অভিনয় করেছেন বলেই তাকে দ্রৌপদী বলেছেন।আর এর-ওর সঙ্গে থাকা বলতে উনি নাকি রূপা গঙ্গোপাধ্যায়ের রাজনৈতিক দল বদলের দিকে ইঙ্গিত করেছেন।এক সময় রূপা গঙ্গোপাধ্যায় পশ্চিমবঙ্গের সিপিএমের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের ভক্ত ছিলেন আর এখন বিজেপির হয়ে ভোটে লড়ছেন।
রূপা গঙ্গোপাধ্যায় এসব আপত্তিকর মন্তব্যের জবাব দেন খুব সংক্ষিপ্ত ভাষায়।প্রতিক্রিয়ায় উনি বলেন “মমতা ব্যানার্জির দলের কাছে আর কতটুকু শালীনতা আশা করতে পারি ?এটুকু বলতে গিয়েই আমার খামোখা ৩০ সেকেন্ড নষ্ট হল”।পরে অবশ্য দলের নির্দেশে উনি নির্বাচন কমিশনে অভিযোগ দায়ের করতে যান ।
উল্লেখ রেজ্জাক মোল্লার এই আপত্তিকর মন্তব্য শুধুমাত্র রূপা গঙ্গোপাধ্যায়ে থেমে নেই অভিনেতা ও তৃণমূল সাংসদ দেব ও মুনমুন সেনকে নিয়ে ও করেছেন। রেজ্জাক মোল্লা দেব সম্পর্কে মন্তব্য করেন ” ওই তো দেবের মতো একজনকে দিয়ে রাজনীতি হচ্ছে ।আপনার আমার মতো ভদ্রলোক দিয়ে নয়”।মুনমুন সেন প্রসঙ্গে মন্তব্য করেন “গ্ল্যামার ছাড়া রাজনীতিতে ওর কোন উপযোগিতা নেই।মুনমুন সেন কি কাজে লাগবে?চাষির কি কাজে লাগবে? মজুরের কি কাজে লাগবে? বিড়ি শ্রমিকের কি কাজে লাগবে?
বিজেপির আরেক তারকা প্রার্থী লকেট চট্টোপাধ্যায় এই প্রপ্রসঙ্গে বলেন এটা কোন একটি নির্দিষ্ট দলের বিষয় নয়।এই ধরণের মানসিকতার বিরুদ্ধে সব দল মত নির্বিশেষে প্রতিবাদ করা উচিত ।
শিলা চৌধুরী , কলকাতা প্রতিনিধি